ফুটবল ম্যাচ

স্কোর লাইন উল্টা হলে ঠিক ছিল। উল্টা হবার-ই কথা ছিল। হবার কথা ছিল বিয়ত ৪ – ১ আন বিয়ত। অথচ হয়ে গেল বিয়ত ১ – ৪ আনবিয়ত।

শ্যামপুর গ্রামে প্রতি বছর ঈদে এই ফুটবল খেলার আয়োজন হয়। বিবাহিত বনাম অবিবাহিত। সেখান থেকেই বিয়ত আর আনবিয়ত! তুমুল প্রতিযোগিতা পূর্ণ খেলা। মান সম্মানেরও ব্যাপার স্যাপার থাকে। বিয়ত এর চিন্তা – হেরে গেলে শুনতে হবে “বাচ্চা বাচ্চা পুলাপানের সাথে হাইরা গেলা? ছিহ!” আবার ওইদিকে আনবিয়তদের চিন্তা হল হেরে গেলে সবাই বলবে -“বুইড়াগোর সাথে হাইরা গেলি? তোগরে দিয়া কি হইবো?!” গত খেলায় হেরে যাবার পর আনবিয়তের ছেলেপুলেদের কয়েকদিন খুব প্যানার মধ্যে কেটেছে। পাড়ায় মুখ দেখানো দায় হয়ে গিয়েছিল।

হাফ টাইমের আগে আগে লাফ দিয়ে উঠে জমির মিয়া চিৎকার করে উঠল – “লাথি মাইরা হারামিডার হোগার দাঁত ফালায়া দেয়া দরকার!”

Continue reading

হায় আশরাফুল!!!

অ্যাশ (আশরাফুল)  এর ভক্ত আমি সেই ছোট বেলা থেকে। ইন্ডিয়ান এজ লেভেলের  ক্রিকেট টিম বাংলাদেশে এসেছিল কোনো একটা সিরিজ খেলতে, আমার ঠিক মনে নেই। এতদিন আগের কথা আর ছিলামও যথেষ্ট ছোট। অ্যাশ এর বয়স তখন ১৪ কি ১৫ বছর। ওই সিরিজেই প্রথম অ্যাশ এর ব্যাটিং দেখা। যতদুর মনে পরে ৭৪ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, সেই যে চোখে লেগে গেল তার অসাধারণ ব্যাটিং তা একেবারে চোখ দিয়ে ঢুকে মনে গিয়ে যায়গা করে নিল! প্রশ্ন আসতেই পারে, ওই বয়সে ব্যাটিং এর কি বুঝি? উত্তর হচ্ছে এখনকার চেয়ে তখনই বোধহয় ভালো বুঝতাম!! ৫০ ওভারের খেলাও পুরোটা বসে বসে দেখতাম। পারলে এক বলেও মিস্  করতাম না! আশরাফুল এর তার পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া এবং খর্বাকৃতির এই ছেলেটির ইতিহাস সৃষ্টির কাহিনী মোটামুটি সবারই জানা।
Continue reading