স্কোর লাইন উল্টা হলে ঠিক ছিল। উল্টা হবার-ই কথা ছিল। হবার কথা ছিল বিয়ত ৪ – ১ আন বিয়ত। অথচ হয়ে গেল বিয়ত ১ – ৪ আনবিয়ত।
শ্যামপুর গ্রামে প্রতি বছর ঈদে এই ফুটবল খেলার আয়োজন হয়। বিবাহিত বনাম অবিবাহিত। সেখান থেকেই বিয়ত আর আনবিয়ত! তুমুল প্রতিযোগিতা পূর্ণ খেলা। মান সম্মানেরও ব্যাপার স্যাপার থাকে। বিয়ত এর চিন্তা – হেরে গেলে শুনতে হবে “বাচ্চা বাচ্চা পুলাপানের সাথে হাইরা গেলা? ছিহ!” আবার ওইদিকে আনবিয়তদের চিন্তা হল হেরে গেলে সবাই বলবে -“বুইড়াগোর সাথে হাইরা গেলি? তোগরে দিয়া কি হইবো?!” গত খেলায় হেরে যাবার পর আনবিয়তের ছেলেপুলেদের কয়েকদিন খুব প্যানার মধ্যে কেটেছে। পাড়ায় মুখ দেখানো দায় হয়ে গিয়েছিল।
হাফ টাইমের আগে আগে লাফ দিয়ে উঠে জমির মিয়া চিৎকার করে উঠল – “লাথি মাইরা হারামিডার হোগার দাঁত ফালায়া দেয়া দরকার!”